Thu, November 21, 2024
শীতের প্রকোপে বেড়েছে ঠাণ্ডা জনিত রোগ - toptipsbd.wapkiz.mobi
Home » জাতীয় » শীতের প্রকোপে বেড়েছে ঠাণ্ডা জনিত রোগ

শীতের প্রকোপে বেড়েছে ঠাণ্ডা জনিত রোগ

admin March 31,2024 জাতীয় 0 50
wapkiz.com শিশু ও ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি রোগীর চিত্র ধারণ ক্ষমতারও ৫-৬ গুণ বেশি। এর মধ্যে সপ্তাহ জুড়ে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে প্রতিদিন গড়ে ৮০-৯০ জন রোগী ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে। তাদের অধিকাংশই শিশু রোগী। বহিঃবিভাগে প্রতিদিন ১২শ থেকে ১৫শ জন চিকিৎসা নেওয়াদের মধ্যেও শীত ও ভাইরাস জনিত রোগী বেশি। গত কয়েক দিনে ভাইরাস ও ঠাণ্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মো. আসিফ ইকবাল। শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ড ঘুরে দেখা যায়, ১৭ বেডের বিপরীতে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৫৫ জন। যার মধ্যে প্রায় ৪৫ জনই শিশু। ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত রোগীর চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসক-নার্সদের। শয্যা না পেয়ে ডায়রিয়া ওয়ার্ডের মেঝে ও বাইরে থাকা টুলে বসে চিকিৎসা নিতে দেখা যায় অনেককে। একই চিত্র ছিল শিশু ওয়ার্ডেও। সেখানে ২৬ শয্যার বিপরীতে এ মোট ভর্তি রোগী রয়েছে ৪৫ জন। তাদের বেশির ভাগই নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছেন বলে জানান কর্তব্যরত সেবিকা। চিকিৎসার জন্য আসা রোগীর স্বজনরা বলছেন ঠাণ্ডা ও ভাইরাসজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে এলে চিকিৎসক ভর্তি দিচ্ছেন। ওয়ার্ডে যাওয়ার পর রোগীর জন্য বেড পাওয়া তো দূরে থাক, মেঝেতে বিছানা পেতে চিকিৎসা নেওয়ার জন্যও জায়গা খালি পাওয়া দুষ্কর। ছাগলাইয়ার পাঠাননগর থেকে আসা আবদুল করিম নামে এক শিশু রোগীর বাবা বলেন, গত ২ দিন ধরে মেয়ে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত থাকায় ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসি। ডাক্তার ভর্তি দিয়েছেন। ডায়রিয়া ওয়ার্ডের ভেতরে জায়গা না পেয়ে বাইরে থাকা বেঞ্চে বসিয়ে মেয়েকে স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে। বহিঃবিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা এক রোগী জানান, শতশত মানুষ প্রতিদিন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসে। রোগীর তুলনায় চিকিৎসক কম হওয়ায় প্রায়ই সব রোগী শেষ না করেই কক্ষ ত্যাগ করেন চিকিৎসকরা। ফলে দূরদূরান্ত থেকে আসা রোগীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। ফেনী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আসিফ ইকবাল জানান, শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাস ও ঠাণ্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। অতিরিক্ত রোগীর চিকিৎসা সেবা দিতে চিকিৎসক ও নার্সদের হিমশিম খেতে হয়। সবচেয়ে বেশি সমস্যা দেখা দেয় ওয়ার্ডে ভর্তি রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার সময়। ধারণ ক্ষমতার কয়েকগুণ বেশি ভর্তি থাকায় রোগীদের মেঝেতে থাকতে হচ্ছে। তিনি আরও জানান, ২৫০ শয্যার হাসপাতাল পরিচালনার জন্য যে পরিমাণ জনবল প্রয়োজন সে তা না থাকায় ভোগান্তিতে পড়তে হয় কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সদের।
ABOUT AUTHOR


admin
Shahoriya (Administrator & SEO)
I Like To Share News.
If You Have Any Problem Contact
0 COMMENTS
Be The First To Comment Here

Leave a Reply

Name:


Comment:


Share On